শিশুকে কৃত্রিম দুধ খাওয়ালে এই ৫ টি মারাত্মক উপসর্গ দেখা দিতে পারে
আজকাল প্রায়ই দেখা যায় কৃত্রিম দুধ খাওয়ানোর ব্যপক প্রচলন। মায়ের দুধে যদি পেট না ভরে অথবা কাজের জন্য মাকে যদি দীর্ঘ সময় বাইরে থাকতে হয় এছাড়া অন্যান্য কারণেও শিশুকে কৃত্রিম দুধ খাওয়াতে হতে পারে।
দুর্বল অপরিণত শিশু যতদিন বুকের দুধ টানতে না পারে, শিশুর অসুখ (হাম, বসন্ত, পেটের অসুখ ইত্যাদি) হলে বা শিশুর তালুকাটা ও ঠোঁট চেরা থাকলে শিশুর জন্য কৃত্রিম দুধের ব্যবস্থা করতে হয়।
কিন্তু অনেকে এসব কারণ ছাড়াও বুকের সৌন্দর্য্যের বিকৃতি ঘটতে পারে, এই ভয়ে তাঁর শিশুকে বুকের দুধ না খাইয়ে কৃত্রিম দুধের আশ্রয় নেন। এটা করা খুব ভুল। এতে শিশুর যেমন ক্ষতি হয় পরবর্তী কালে মায়েরও কঠিন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১) পেট ফাঁপা ও ব্যাথা
– খাওয়ার সময় অতিরিক্ত বাতাস গলাধঃকরণ করে, ফলে অস্থিরতা বেড়ে যায়।
২) বমি বমি ভাব হওয়া
-অনেক সময় বেশী বাতাস পেটে গিয়ে পেট ফাঁপলে এরকম হতে পারে। কোন সময় বেশী খেলেও বমি হতে পারে। কখনও খাওয়া সহ্য না হলে বমি হতে দেখা যায়। (সব কিছু যত্ন নেওয়া সত্ত্বেও বমি হলে রোগের কারণ অনুসন্ধান করার জন্য ডাক্তার দেখানো উচিত।)
৩) কোষ্ঠ কাঠিন্য
– কম খাওয়ালে কোষ্ঠ কাঠিন্য হতে পারে।দুধের পরিমাণ জল ও চিনির বা মিষ্টির ভাগ ঠিক থাকলেই সেরে যায়।
৪) পাতলা পায়খানা
– কৃত্রিম দুধে যদি অত্যাধিক মিষ্টি বা ফ্যাট থাকে তাহলে পাকস্থলি সহ্য করতে পারে না তখন পাতলা পায়খানা হয়। এছাড়া বড় কারণ হল দুধ তৈরী করা বা খাওয়ানোর সময় দুধ জীবাণু দুষ্ট হলে বাচ্চার পাতলা পায়খানা হয়।
৫)ওজন কমতে থাকা
– কৃত্রিম দুধে শিশুদের ওজন কম হবার সবচেয়ে বড় কারণ কম খাওয়ানো, দুধ বা গুঁড়ো দুধের পুষ্টি প্রদানকারী ক্ষমতা জানা না থাকলে বা মিশাতে ভুল হলে শিশুরা প্রকৃত পরিমাণের চেয়ে পুষ্টি কমই পায়। মাকে যত্নবতী হয়ে খাদ্যের মাত্রা বাড়িয়ে ওর উন্নতি দেখতে হয়।
দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি
আমার মতে বোতলের চেয়ে শিশুকে ঝিনুক বাটিতে দুধ খাওয়ানো অনেক বেশী বিজ্ঞান সম্মত। বোতলে খাওয়ালেও সবসময় চেষ্টা করতে হবে প্লাস্টিকের বোতল বাদ দিয়ে কাঁচের বোতলে খাওয়াতে।তবুও বলি জণ্মানোর পর সদ্যজাত শিশুকে মায়ের গাঢ় হলুদ দুধ খাওয়ানো শিশুর জন্য অত্যন্ত জরুরী। তাই কমপক্ষে তিন মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশুর অসুখ বিসুখ কম হয়।