আপনি কি রোগা ? সৌন্দর্য বৃদ্ধির চারটি ঘরোয়া পদ্ধতি জেনে নিন।
বেশিরভাগ পুরুষ ও মহিলা যখন ওজন কমাবার বিষয়ে সর্তক তখন কিছু মানুষ আছেন যারা নিজেদের ওজন বাড়াতে চান। যারা বংশগত ভাবে কম পেশিবহুল তাদের ওজন বৃদ্ধি করাটা একটু সময় সাপেক্ষ। কিছুদিন ‘জিম’ করার পর জিম প্রশিক্ষকরা তাড়াতাড়ি ওজন ব্রিদ্ধির জন্য স্টেরয়েড দেন। ওজন বৃদ্ধির জন্য অধিক শক্তি(ক্যালোরি) যুক্ত খাবারের উপযুক্ত খাদ্য তালিকা।
অধিক ক্যলোরি যুক্ত চার প্রকার সহজলভ্য খাদ্য তালিকা
১) ভাত (রাইস)
কোনরূপ ঝামেলা ছাড়াই আমরা প্রতিদিন বাড়িতে ভাত বানাতে পারি। বাদামী ভাত বা সাদা ভাত যাই হোক না কেন, দুই প্রকার ভাতই উপযুক্ত। প্রধান পার্থক্য হল বাদামী ভাতে শর্করার মাত্রা সাদা ভাতের তুলনায় অধিক পারিমাণে থাকে। এক কাপ ভাত অর্থাৎ ১৫০ গ্রাম ভাতে ৪০ গ্রাম শর্করা মানে ১৮০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। যারা ওজন বাড়াতে চান তারা দিনে অন্তত দুবার অবশ্যই ভাত খান।
২) বাদাম
বাদামে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি। টুকটাক মুখোরোচক খাবার হিসাবে যেকোন সময়ে আমরা বাদাম খেতে পারি। যে কোন ছোট পাত্রে সবসময় চলাফেরার পথে আমরা নিজেদের কাছেই বাদাম রাখতে পারি। বাদামের মধ্যে তিন ধরনের খাদ্যগুন আছে। যেমন ফ্যাট (চর্বি), কার্বোহাইড্রেট(শর্করা), প্রোটিন। উল্লেখ
বাদামের মধ্যে দেহের প্রয়োজনীয় ফ্যাট থাকে। এই প্রয়োজনীয় ফ্যাট আমাদের দেহকে বাইরে থেকে নিতে হয়। দেহের ওজন বৃদ্ধির জন্য ‘বাদাম মাখন’ একটি উপযুক্ত খাদ্য কিন্তু খুব বেশী পাক (গুরু পাক) করে নয়। একটা ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে যাতে ‘বাদাম মাখন’ যেন কোনরুপ কৃত্রিম মিষ্টতা এবং স্বাদ (ফ্লেবার) যুক্ত না হয়।
৩) শ্বেতসার যুক্ত শাকসব্জী
শ্বেতসার যুক্ত শাকসব্জীতে ক্যালোরির মাত্রা অনেক বেশি। যারা দেহের ওজন বাড়াতে চান তাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দেহে প্রতিদিন ক্যালোরির মাত্রা বাড়ানো। সেই কারণে ভাতের সঙ্গে বেশী ক্যালোরি যুক্ত সব্জী খওয়া উচিত। যেমন আলু, রাঙা আলু, বিন, শিম, ওট, ভুট্টা প্রভৃতি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকা উচিত।
৪) চিস/পনির
চিসে ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় ৭০%, তাই চিস অধিক ক্যালোরি যুক্ত খাবার। চিস বা পনির খেতেও সুস্বাদু। এক গ্রাম ফ্যাটে ৯ ক্যালোরি পাওয়া যায় যা প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবারের থেকে অনেক বেশী। যদি ক্যালোরির মাত্রা দেহে বাড়াতে চান তাহলে তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকাতে অল্প পরিমাণ চিস থাকা উচিত।
কৃত্রিম ক্যালোরি যুক্ত খাবার না খেয়ে অধিক শর্করা যুক্ত প্রাকৃতিক খাদ্য এবং মাঝারি মাপের প্রোটিন এবং ফ্যাট যুক্ত খাবার দেহের ওজন বাড়াতে এবং পেশীবহুল করে তুলতে সাহায্য করবে।