আপনার শিশু কি মায়ের দুধ থেকে বঞ্চিত? জেনে রাখুন মায়ের দুধের উপকারিতা।
মায়ের বুকের দুধের উপকারিতা
জণ্মের পর শিশুরা সাধারণতঃ মায়ের দুধ খায় এবং ঐ দুধই শিশুর পুষ্টি ও বৃদ্ধির পক্ষে একান্ত উপযোগী। অন্ততঃ তিন মাস বয়স পর্যন্ত বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ালে বাচ্চাদের অসুখ বিসুখ কম হয়।
ছবি: পিক্সঅ্যাবে
মায়ের বুকের দুধের উপকারিতা –
১) হজম শক্তি অনুযায়ী সর্বপ্রকার সার বস্তুই শিশু সঠিক পরিমাণে মায়ের দুধ থেকে সংগ্রহ করতে পারে।
২) প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলি সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায় শিশু মায়ের দুধে পায়।
৩) কতকগুলি রোগ প্রতিরোধক পদার্থ মায়ের দুধের মাধ্যমে অবিকৃত অবস্থায় সরাসরি শিশুর দেহে প্রবেশ করে প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় সেজন্য বোতলে খাওয়া শিশুদের চেয়ে এরা কমই রোগাক্রান্ত হয়।
৪) মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশুদের পেটের গোলমাল বা কোষ্ঠ কাঠিন্য কম হয় কিন্তু কৃত্রিম আহারের জন্য যথেষ্ট পেটের অসুখের সম্ভাবনা থেকে যায়।
৫) স্তন দুধ দেওয়াকালে মা ও শিশুর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা, স্নেহ, আকর্ষণ,ভালবাসা গড়ে ওঠে। এতে দুজনেরই দেহমনের উন্নতি হয়।
৬) মায়ের দুধ পান করলে শিশুদের যে কোন স্নংক্রমণের প্রবণতা, শ্বাসযন্ত্র জনিত সমস্যা, ডায়রিয়া হওয়ার প্রবণতা অনেক কম থাকে।
৭) মাতৃ দুগ্ধ সেবন করলে শৈশব কালে শিশুদের আইকিউ স্কোর বৃদ্ধি পায়।
৮) স্তন দুধে অ্যান্টিবডি রয়েছে যা আপনার শিশুকে ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
৯) স্তন দুধ পান করলে শিশুদের অ্যাস্থমা বা অ্যালার্জির ঝুঁকি কম থাকে।
১০) স্তন দুধ দেওয়াকালে মা ও শিশুর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা, স্নেহ, আকর্ষণ,ভালবাসা গড়ে ওঠে। এতে দুজনেরই দেহমনের উন্নতি হয়।
সর্বোপরি স্তনের দুধ খাওয়ালে শুধু যে শিশুর উপকার হয় তা নয়, মায়েরও উপকার হয় যেমন গর্ভাবস্থায় মায়ের যে ওজন বৃদ্ধি হয় সেই ওজন দ্রুত হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং অস্টিওপরোসিস এবং এমনকি ডিম্বাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।