জানেন ১৪ই ফেব্রুয়ারী কেন ভ্যালেনটাইনস্ ডে পালন করা হয় ?
আজকের বাঙালী বিশেষত বাঙালী যুবক যুবতীর কাছে ভ্যালেনটাইনস্ ডে একটি বিশেষ দিন। বিশ্ব ভালবাসা দিবসটি ক্রমশ বাঙালী নিজের করে নিয়েছে। এযুগের বাঙালী প্রেমীদের কাছে এই দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম।
![Valentine’s Day](http://banglablog.in/wp-content/uploads/2018/01/love-560783_1280.jpg)
১৪ই ফেব্রুয়ারি দিনটি প্রীতি,ভালবাসা ও বন্ধুত্বের। ছবি: পিক্সঅ্যাবে
ভ্যালেনটাইনস্ ডে মানে অবুঝ দুটি মনের ভাব প্রকাশ করার দিন, অনেকদিনের জমে থাকা অভিমান প্রকাশ করার দিন, বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন রক্ষা করার জন্য নতুন করে শপথ নেবার দিন, দুজন প্রেমীর মধ্যে বন্ধুত্ব বজায় রাখার দিন। তাই এই দিনটিকে আরও ভালোভবে পালন করতে হলে আসুন জেনে নিই দিনটির ইতিহাস।
ভ্যালেনটাইনস্ ডে (Valentine’s Day)
ভ্যালেনটাইনস্ ডে কথাটির বাংল আক্ষরিক অর্থ ভালবাসার দিবস। এই দিনটি সেণ্ট ভ্যালেনটাইনস্ ডে (Saint Valentine’s Day) অথবা সাধু ভ্যালেনটাইনের উৎসব(Feast of Saint Valentine) বলে পরিচিত। ১৪ই ফেব্রুয়ারী এই দিনটি পালন করা হয়। ১৪ই ফেব্রুয়ারি (ওয়েস্টার্ন খ্রিস্টান চার্চ দ্বারা নির্ধারিত) ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিনটি প্রীতি,ভালবাসা ও বন্ধুত্বের।
পৃথিবীর অনেক দেশেই এই দিনটা মানুষ ছুটির দিন হিসাবে কাটিয়া দেয় কিন্তু ভ্যালেনটাইনস্ ডে সরকারি ছুটি ঘোষিত নয়। এই দিনটির উৎপত্তি হয়েছিল Western Christian liturgical অনুযায়ী, অর্থাৎ পাশ্চাত্য খ্রীষ্টান গীর্জার ক্যালেণ্ডার অনুযায়ী। সাধু ভ্যালেনটাইনের সম্মানার্থে এই দিনটি উৎসব রূপে পালন করা হয়। “ভ্যালেনটাইনস্ ডে” এই দিনটি পৃথিবীর অনেক অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতি এবং বাণিজ্যিক উদযাপন হিসাবে সীকৃত।
এক কিংবদন্তী ভ্যালেনটাইন নামক খ্রিষ্টান পাদ্রী এবং ডাক্তার, রোমে তৃতীয় শতাব্দীর সময় যাজক ছিলেন। রোমান সম্রাট ক্লডিয়াস দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে সৈন্যরা অবিবাহিত থাকবে। কারণ তাঁর ধারণা ছিল একজন অবিবাহিত পুরুষ অনেক ভালো সৈন্য হতে পারবে একজন বিবাহিত পুরুষের থেকে। কিন্তু সাধু ভ্যালেনটাইন সম্রাট ক্লডিয়াসের এই অবিচার উপেক্ষা করে, তরুণ প্রেমীদের গোপনে বিবাহ দিয়েছিলেন। রোমান পাদ্রী ভ্যালেনটাইনের জীবনী থেকে জানা যায় রোমান সৈন্যদের বিবাহ দেওয়ার অপরাধে তিনি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন। সেন্ট ভ্যালেনটাইন তাঁর জেলার, এস্তেরিয়াসের অন্ধ মেয়েকে সুস্থ করেছিলেন এবং তাকে ভালোবেসেছিলেন। তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আগে, তিনি একটি বিদায়কালীন চিঠি লিখেছিলেন যা স্বাক্ষর করেছিলেন “Your Valentine” (“তোমার ভ্যালেনটাইন”) নামে।
অন্যান্য কাহিনীতে বলা হয়েছে যে রোমান কারাগারে বন্দী নিপীড়িত,অত্যাচারিত খ্রিস্টানদের কারাগার থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার প্রয়াসের জন্য ভ্যালেনটাইনকে হত্যা করা হতে পারে।
১৮ শতকের ইংল্যান্ডে, এটি একটি উপলক্ষ্যে প্রবর্তিত হয় যেখানে প্রেমীরা ফুল উপস্থাপন করেন, মিষ্টান্ন দেন এবং শুভেচ্ছা কার্ড পাঠিয়ে(“ভ্যালেন্টাইনস” নামে পরিচিত) একে অপরের প্রতি তাদের প্রেম প্রকাশ করে।
ইউরোপে, ‘সেন্ট ভ্যালেনটাইনের চাবি’(Saint Valentine’s Keys”)প্রেমের প্রতীক হিসেবে পরিচিত এবং এই চাবি দিয়ে প্রেমীর হৃদয়কে উন্মুক্ত করার আমন্ত্রণ জানানো হয়” এবং শিশুদেরকেও দেওয়া হয়, যাতে মৃগীরোগ (সেন্ট ভ্যালেনটাইনের রোগ)নিবৃত্ত হয়।
ভ্যালেনটাইনস্ ডের প্রতীক
ভ্যালেনটাইনস্ ডে চিহ্নগুলি যে আজ ব্যবহার করা হয় তা হল হার্ট-আকৃতির রূপরেখা, পায়রা এবং পাখির পালকের চিত্র।
পৃথিবীর কোন্ কোন্ দেশে ভ্যালেনটাইনস্ ডে পালন করা নিষিদ্ধ
পৃথিবীতে কয়েকটি দেশ আছে যেখানে ফুল, চকোলেট বা একটি গ্লাস ওয়াইনের সাথে ভ্যালেনটাইনের দিন উদযাপনের ফলে কঠোর শাস্তি হতে পারে।
- পাকিস্তান
- মালয়েশিয়া
- সৌদি আরব
- ইন্দোনেশিয়া
- ইরান
পৃথিবীর কোন্ কোন্ দেশ ১৪ই ফেব্রুয়ারী ভ্যালেনটাইনস্ ডে পালন করে
- স্পেন
- ইটালি
- ফ্রান্স
- ফিনল্যাণ্ড
- নরওয়ে
- ডেনমার্ক
- সাউথ কোরিয়া
- স্কটল্যাণ্ড
- ইংল্যাণ্ড
- ইউনাইটেড স্টেটস্
- অস্ট্রেলিয়া
- ইণ্ডিয়া
- মেক্সিকো
- পোল্যাণ্ড
- ইউকেরাইন
- ইউনাইটেড কিংডম্